মোটে এক চিলতে জায়গা ছাদে বা উঠানে। এতেই হতে পারে সবজি আর পাঁচমিশালি গাছের বাগান। এ বাগানে কাজটা করতে হবে নিজেকেই। এতে পরিশ্রম হবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
অস্টিওপেরোসিসের ঝুঁকি কমে
কাজকর্মে ব্যতিব্যস্ত থাকলে শরীরের ওজন যেমন কমে, তেমনই সুস্বাস্থ্যের জন্যও পরিশ্রম খুব দরকার। আর নিজেই নিজের বাগান তৈরির কাজটুকু করলে শরীরের সুস্থ রাখার জন্য ওই ব্যতিব্যস্ততাটুকু আপনাতেই হয়ে যায়। এতে ভালো থাকে হাড়। এ কারণে শরীরে অস্টিওপেরোসিস রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ গবেষক তিন হাজার ৩১০ জন বয়স্ক নারী বাগান-মালিকের ওপর গবেষণা করে দেখেছেন, সাঁতারু, প্রাতর্ভ্রমণকারী কিংবা অন্যান্য ছাপোষা নারীদের তুলনায় ওই সব নারীদের অস্টিওপেরোসিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেক কম।
জীবনের প্রতি ভালোবাসা
গাছগাছালি পরিবেষ্টিত হয়ে থাকাটা কিন্তু কঠিন কিছু নয়। এতে যেমন ভালো লাগারও একটি বিষয় থাকে, ঠিক তেমনই এ পরিবেশটাই জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসা তৈরি করে।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল অধ্যাপক ২৯৮ জন বৃদ্ধ বাগান-মালিকের ওপর গবেষণা করেই এই তথ্যপেয়েছেন। তাঁরা গবেষণায় দেখেছেন, ওই বৃদ্ধ ব্যক্তিদের জীবনে আনন্দ, বিশ্বাসের পরিমাপ এবং আত্মসংযম অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রাথমিক চিকিৎসা কিন্তু শারীরিক পরিশ্রম। আর নিজের বানানো বাগানে সক্রিয়ভাবে কাজ করা একজন মানুষ কম করে হলেও সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট পরিশ্রম করার সুযোগ পান। এই পরিশ্রমেই কিন্তু ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় অনায়াসেই।
অবশ্য এমনটাই বলেছেন কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা জানান, যাঁরা নিজের বাগানে পরিতৃপ্তি নিয়ে পরিশ্রম করেন, তাঁদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি একদম নিচের দিকে।
গভীর ঘুমের জন্য
বাগানে পরিশ্রম করলে যেমন শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, ঠিক তেমনই তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। বাগানে পরিশ্রম করলে ভালো ঘুম হয়। আর এই ভালো ঘুমের কারণেই ভুলে যাওয়া কিংবা অত্যধিক উত্তেজনার মতো রোগগুলো কমে আসে অনেকাংশেই। ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর হর্টিকালচার সায়েন্সের গবেষকেরা গবেষণায় এ ধরনের নিশ্চয়তাই দিচ্ছেন কিন্তু।