#মূল শব্দ: ১। চিকুনগুনিয়া হচ্ছে ভাইরাসজনিত রোগ, যা মানুষ থেকে মশার দ্বারা স্থানান্তরিত হয়।এ ভাইরাসের কারনে জ্বর এবং বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা হয়ে থাকে।এছাড়াও মাংশপেশিতে ব্যাথা, মাথাব্যাথা, বমি করা, ক্লান্তি অনুভব এবং ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। ২। জয়েন্টের ব্যাথা দূর্বল হলেও স্থায়িত্ব অনেক বেশি। ৩। এ রোগে ডেঙ্গু এবং জিকার মতন কিছু ক্লিনিক্যাল চিহ্ন আছে। ৪। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাক্সিন নেই,সুস্থতার জন্য উপসর্গ গুলোকে ফোকাস করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৫। মানুষের আবাসস্থলের আশেপাশে মশার বসবাস চিকনগুনিয়া হওয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারন। ৫। প্রধানত চিকনগুনিয়া হয়ে থাকে আফ্রিকা,এশিয়া এবং ভারতবর্ষে।২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন…
Read MoreCategory: সংক্রামক ব্যাধি
বার্ড ফ্লুঃ সচেতনতাই প্রতিরোধের মূল অস্ত্র
বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সাম্প্রতিক সময়ে একটি উল্লেখযোগ্য আলোচনার বিষয়। ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আমরা অধিকাংশই কোন না কোন সময়ে আক্রান্ত হয়েছি যা খুব সাধারণ একটা রোগ। পাখিদেরও এমন সাধারণ বার্ড ফ্লু কিভাবে মারাত্নক মানবঘাতি রোগে পরিণত হল এবং এই রোগ থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন বার্ড ফ্লু কিঃ এককথায় বলা যায় বার্ড ফ্লু হচ্ছে পাখিদের ফ্লু। ফ্লু ভাইরাসের অনেক ধরনের উপবিভাগ রয়েছে। এই সাবটাইপ বা স্ট্রেইনগুলো ঘন ঘন তাদের গঠনে পরিবর্তনের মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের ভাইরাসের উদ্ভব ঘটায়। এমনই এক ধরনের পাখিদের ফ্লু ভাইরাসকে বার্ড ফ্লু…
Read Moreবার্ড ফ্লুঃ সচেতনতাই প্রতিরোধের মূল অস্ত্র
বার্ড ফ্লু বা এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সাম্প্রতিক সময়ে একটি উল্লেখযোগ্য আলোচনার বিষয়। ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আমরা অধিকাংশই কোন না কোন সময়ে আক্রান্ত হয়েছি যা খুব সাধারণ একটা রোগ। পাখিদেরও এমন সাধারণ বার্ড ফ্লু কিভাবে মারাত্নক মানবঘাতি রোগে পরিণত হল এবং এই রোগ থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন বার্ড ফ্লু কিঃ এককথায় বলা যায় বার্ড ফ্লু হচ্ছে পাখিদের ফ্লু। ফ্লু ভাইরাসের অনেক ধরনের উপবিভাগ রয়েছে। এই সাবটাইপ বা স্ট্রেইনগুলো ঘন ঘন তাদের গঠনে পরিবর্তনের মাধ্যমে ভিন্ন ধরনের ভাইরাসের উদ্ভব ঘটায়। এমনই এক ধরনের পাখিদের ফ্লু ভাইরাসকে বার্ড ফ্লু…
Read Moreযৌন ইনফেকশন
সাধারণত যৌন ইনফেকশনের জন্য যৌন সংসর্গ দায়ী। মুখে ও যৌনাঙ্গে শরীরের স্পর্শকাতর কোথাও যৌন সংক্রামক ব্যাধি থেকে থাকলে তা অপরকে আক্রান্ত করে থাকে সাধারণত পাঁচটি যৌন অসুখ পৃথিবীতে দেখতে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিফিলিস এবং গনোরিয়া প্রধান। এ ছাড়াও স্যাক্রয়েড, লিম্ফগ্রানোলোমা বেনেরাস এবং গ্রানোলোমা ইনজিনুয়াল অপর কিছু যৌনরোগ। নারীদের যৌন সংক্রামক রোগ হয় সাধারণত বহুগামিতার ফলে। অপরদিকে সমকামিতা এবং পতিতা সহবাসের জন্য পুরুষের যৌন সংক্রামক রোগ হতে পরে। নারী পুরুষ উভয়ের জন্য যৌন সংক্রামক রোগ যৌন জীবনের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ । নারী স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আলোচনায় যৌন সংক্রামক নানা বিষয়ে আলোচনা…
Read Moreহেপাটাইটিস বি
ঘাতক ব্যাধি এইচআইভি/এইডসের কথা আজ আর কারো অজানা নয়। গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার কারণে এ বিষয়ে অনেক সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রাপ্ত সমীক্ষায় বর্তমানে পৃথিবীতে ৩৩·২ মিলিয়ন নারী-পুরুষ এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত বলে জানা যায়। এইচআইভিতে আক্রান্ত মহিলার সংখ্যা হচ্ছে ১৫·৪ মিলিয়ন আর নিষ্পাপ শিশুর সংখ্যা প্রায় ২·৫ মিলিয়ন। ২০০৭ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২·৫ মিলিয়ন নারী-পুরুষ নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয় আর এ বছর এইডসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা হচ্ছে ২·৪ মিলিয়ন। ১৯৮১ সালে প্রথম মানব দেহে এইচআইভি ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এ পর্যন্ত মোট…
Read Moreসিফিলিস
সিফিলিস মারাত্নক যৌনরোগ। এর ফলে অন্ধত্ব, প্যারালাইসিস এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অধিকাংশ সময় সিফিলিস পুরুষের লিঙ্গ থেকে নারীর যোনিতে অথবা নারীর যোনি থেকে পুরুষের লিঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কোনো সময় এটি মুখ থেকে বা মলাসয়ের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। সিফিলিসের চিকিৎসা খুব একটি জটিল নয়। অনেক সময় উপসর্গহীন সিফিলিস হতে পারে। পেনিসিলিন ইনজেকশন বা অন্যান্য এন্টিবায়োটিক হলো এর প্রধান চিকিৎসা। প্রথম স্তনে সিফিলিস- প্রথম পর্যায়ে সিফিলিস হলো সাধারণত যে উপসর্গগুলো লক্ষণীয় হয় সে গুলো হলো ১০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে শরীরের র্যাশ – পায়ুর কাছে র্যাশ – স্তনবৃন্তে র্যাশ- ৪…
Read Moreযৌন সংক্রামক রোগ
যৌন সংক্রামক রোগ হলো অন্যের শরীরের স্পর্শে নিজের দেহে মারাত্নক ধরনের জীবাণুর আক্রমণ। বহু ক্ষেত্রে যৌন সংক্রামক রোগের সঠিক কোনো চিহ্ন এবং উপসর্গ থাকে না। একজন পুরুষ অথবা একজন নারী কাজেই বুঝতে পারে না তারা আদৌ যৌন সংক্রামক কোনো রোগে আক্রান্ত কিনা। একটি দেশে বা সমাজে যৌন রোগে আক্রান্ত রোগিদের প্রকৃত সংখ্যা কত তা কখনো সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না । আমাদের দেশে অধিকাংশ নারী যৌন নানা সমস্যায় ভুগে থাকে তবে যৌন রোগে নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যে সব নারী পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত তাদের যৌন সংক্রামক রোগের সম্ভবনা থাকে…
Read Moreরোগের নাম শ্যানক্রয়েড
শ্যানক্রয়েড হলো একটি যৌনবাহিত সংক্রমণ। এর বৈশিষ্ট্য হলো যৌনাঙ্গে যন্ত্রণাদায়ক ঘা। যৌন সংসর্গের মাধ্যমে শ্যানক্রয়েড একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায়। কারণ শ্যানক্রয়েড একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এ রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার নাম ‘হিমোফাইলাস ডুকরে।’ রোগটি সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি দেখা যায়। এটার সাথে বাণিজ্যিক যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দেরদের সম্পর্ক রয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে সংক্রমণের হার কম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যাদের শ্যানক্রয়েড হয়েছে তারা ইতঃপূর্বে কোকেন ব্যবহার করেছেন এবং পতিতালয়ে গেছেন। খৎনা করানো পুরুষদের চেয়ে খৎনা না করানো পুরুষদের শ্যানক্রয়েড আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ বেশি। শ্যানক্রয়েডের রোগীদের এইডস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। উপসর্গ…
Read Moreএইডস
এইডস বর্তমান বিশ্বের বহুলপরিচিত একটি নাম এইডস (AIDS)৷ এটি একটি মরণব্যধি ৷ এইডস এর পুরো অর্থ একোয়ার্ড ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম৷ এইডস এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত রোগ৷ উন্নত অনুন্নত সকল দেশেই এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ নারী, পুরুষ ও শিশু৷ বিশেষ করে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়েসী মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়৷ এইডস প্রথম শনাক্ত করা হয় আমেরিকাতে ১ঌ৮১ সালে৷ তবে প্রথম দেখা যায় ১ঌ৭০ সালের শেষদিকে আফ্রিকার বিষুবীয় অঞ্চলে এবং ১ঌ৭৮ সালে যুক্তরাজ্যে৷ এইচআইভি ভাইরাস রক্তের শ্বেত কণিকাগুলোকে নষ্ট করে দেয়৷ ফলে এইচআইভি আক্রমণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়৷ যার…
Read Moreমহাঘাতক হেপাটাইটিস সি
হেপাটাইটিস সি এমন একটি ভইরাস যা বিশ্বব্যাপী মারাত্মক সংক্রামক রোগের জীবাণু হিসেবে পরিচিত। এ ভাইরাসের ফলে জন্ডিস থেকে শুরু করে লিভার সিরোসিস এমনকি লিভার ক্যান্সারও হতে পারে । ১৯৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। হেপাটাইটিস সি নামক ভাইরাসটি লিভার কোষ ধ্বংস করে ফেলে লিভার প্রদাহের সৃষ্টি হয় ও লিভারের কোষ ধ্বংস অব্যাহত থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, বিশ্বের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত এবং প্রতি বছর ৩০-৪০ লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। অনুরূপভাবে বাংলাদেশেও শতকরা ৩/৬ ভাগ লোক হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বাহক। বর্তমানে…
Read More