কোমল পানীয় কোমল নয়

শহুরে খাবারের দোকান থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন খুব সহজেই মেলে কোমল পানীয়। নানা বর্ণ-গন্ধের এই কোমল পানীয় সারা পৃথিবীতেই ব্যাপক জনপ্রিয়। ছেলে-বুড়োর পছন্দের খাদ্যতালিকায় কোমল পানীয়র স্থান ওপরের দিকেই। এই কোমল পানীয় আসলেই স্বাস্থ্যসম্মত কি না, এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে, হচ্ছে। সেটারই ধারাবাহিকতায় নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো প্রাপ্তবয়স্ক লোক যদি দিনে ৭৪ গ্রামের বেশি ফ্রুক্টোজ খায়, তাদের রক্তচাপ বেড়ে যায় ৩৬ শতাংশ। আর এই ৭৪ গ্রাম ফ্রুক্টোজ মেলে মাত্র আড়াই ক্যান কোমল পানীয়তে। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুটিয়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস রোগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায় এই কোমল পানীয়। কখনো কখনো দেখা যায়, বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই দাঁত ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, দাঁত ক্ষয়ের পেছনেও কোমল পানীয় ভূমিকা রাখে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, যেসব নারী দিনে দুটি বা তার থেকে বেশি মিষ্টি কোমল পানীয়তে অভ্যস্ত, তাদের কিডনির সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় ব্যাপক হারে। কখনো কিডনি বিকলও হয়ে যেতে পারে। এত কিছুর পর প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি কোমল পানীয় আমাদের খাদ্যতালিকা থেকে একেবারেই বাদ হয়ে যাবে? না, কোমল পানীয় অবশ্যই খাওয়া যাবে, তবে তাতে অভ্যস্ত হলেই বিপদ!

সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ০৩, ২০১০

Related posts

Leave a Comment