আপনি যদি চিকুনগুনিয়া জ্বর থেকে উদ্ধার পেয়ে থাকেন এবং আপনার জয়েন্টগুলোতে এখনো ক্রমাগত ব্যথা রয়ে যায়, তবে এটি চিকুনগুনিয়ার দির্ঘ মেয়াদি রেশ হতে পারে। এটি ‘পোস্ট ভাইরাল’ বা ভাইরাস জনিত প্রদাহ পরবর্তি আর্থ্রোপ্যাথি নামেও পরিচিত। যদিও এই সমস্যা এক সময় চলে যায়, তবুও রোগির জন্য এটা ভিতিকর বটে। সাদা স্ট্রিপ অয়ালা এডিস মশার একটি ছোট্ট কামড়ের ফলে এই ভাইরাল প্রদাহ তৈরি হয় এবং ফলাফল হিসাবে জ্বর হয়, কয়েক সপ্তাহের জন্য রোগীকে বিছানায় আটকে থাকতে হয়। এই আর্টিকেলে আমরা চিকুনগুনিয়া ভাইরাসে সৃষ্ট জয়েন্ট ব্যথা ও চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। চিকুনগুনিয়া…
Read MoreAuthor: sasthabangla
সেরিব্রাল পালসি
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শিশু প্রতিবন্ধিতার কারন হচ্ছে সেরিব্রাল পালসি। সেরিব্রাল পালসি হচ্ছে বাচ্চার জন্মের সময়, আগে অথবা জন্মের কিছু পরে ব্রেইন এর কোন আঘাত বা রক্ত চলাচলের ব্যঘাতের ফলে সৃষ্ট শারীরিক চলাচলের ও এর সমন্বয় এর সমস্যা।
Read Moreচিকুনগুনিয়া
#মূল শব্দ: ১। চিকুনগুনিয়া হচ্ছে ভাইরাসজনিত রোগ, যা মানুষ থেকে মশার দ্বারা স্থানান্তরিত হয়।এ ভাইরাসের কারনে জ্বর এবং বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা হয়ে থাকে।এছাড়াও মাংশপেশিতে ব্যাথা, মাথাব্যাথা, বমি করা, ক্লান্তি অনুভব এবং ফুসকুড়ি হয়ে থাকে। ২। জয়েন্টের ব্যাথা দূর্বল হলেও স্থায়িত্ব অনেক বেশি। ৩। এ রোগে ডেঙ্গু এবং জিকার মতন কিছু ক্লিনিক্যাল চিহ্ন আছে। ৪। এ রোগের নির্দিষ্ট কোনো ভ্যাক্সিন নেই,সুস্থতার জন্য উপসর্গ গুলোকে ফোকাস করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৫। মানুষের আবাসস্থলের আশেপাশে মশার বসবাস চিকনগুনিয়া হওয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারন। ৫। প্রধানত চিকনগুনিয়া হয়ে থাকে আফ্রিকা,এশিয়া এবং ভারতবর্ষে।২০১৫ সাল থেকে বিভিন্ন…
Read Moreআপনার শিশু কি সঠিক ভাবে বেড়ে উঠছে?
শিশুর বেড়ে ওঠার স্বাভাবিক ধাপ গুল না জানার কারনে আমাদের অনেকেই বাচ্চার বিকাশগত সমস্যা গুল ধরতে পারি না এবং দেরি করে ব্যবস্থা নেয়ার কারনে বাচ্চার বিকাশ অনেক সময় বাধাগ্রস্থ হয়। আসুন আমরা জেনে নেই একটি স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে এমন বাচ্চা কোন বয়সে কি কি করে থাকেঃ ৪ মাস বয়সেঃ উজ্জ্বল রঙের বস্ত ও এর নড়াচড়ার দিকে খেয়াল করে এবং সাড়া দেয়। শব্দের দিকে ঘুরে তাকায়। অন্যের চেহারার দিকে আগ্রহ নিয়ে তাকায়। আপনি তার দিকে তাকিয়ে হাসলে সেও ফিরতি হাসি দেয়। ৬ মাস বয়সেঃ আপনার সাথে আনন্দ নিয়ে যুক্ত থাকে। তার…
Read Moreডায়াবেটিক রোগীর চিনিশুন্য হওয়া
ডায়াবেটিক রোগী রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রন করার জন্য যে ঔষধ বা ইনসুলিন ব্যবহার করে তার মাত্রা যদি খুব বেশী হয়ে যায় অথবা রোগী যদি সময় মতো খাবার না খায়, কিংবা বমি বা পাতলা পায়খানা করে তাহলে হঠাৎ করে রক্তে গ্লুকোজ এর মাত্রা খুব কমে যেতে পারে। যখন এর মাত্রা খুবই কমে যায় তখন রোগী অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। কাজেই এই ব্যপারে শুরু থেকেই সকল রোগীর খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং জেনে নিতে হবে এমন অবস্থা হলে কি করতে হবে। অসুধ বা ইনসুলিন ব্যবহার করার পরে রোগী যদি অসুস্থ…
Read Moreধুমপান ত্যাগে করণীয়
সবার আগে নিজের মন থেকে সব যুক্তিগুলো সাজিয়ে নিয়ে সীদ্ধান্ত নিন, মনকে দৃঢ করুন, ইচ্ছা শক্তি বাড়ান। আপনার ব্যক্তিত্বের শক্তিশালী দিকগুলো নিজের কাছে তুলে ধরুন এবং ঠিক করুন আজ থেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন ধুমপান। বাসায়, ড্রয়ারে বা পকেটে সিগারেট থাকলে তা কোনোরকম দ্বিধা না করে এখনই ফেলে দিন, শুরু হোক আপনার সাহসী পথ চলা। যে সকল স্থানে ধুমপান নিষিদ্ধ সে সকল স্থানে (সেটা হতে পারে মসজিস, যাদুঘর, লাইব্রেরী অথবা আপনার অফিসের কক্ষ অথবা হাসপাতালে) আপনার মূল্যবান সময় কাটান। ক্যান্সার আক্রান্ত আত্মীয়স্বজন থাকলে তাদের সাথে অনেক সময় কাটান। হাসপাতালো কোন পরিচিত রোগী…
Read Moreএনজিওপ্লাস্টি (PTCA) করা রোগীদের জন্য পরামর্শ
১– পরামর্শ পত্রে প্রদত্ত অসুধ অবশ্যই নিয়মিত সেবন করতে হবে। ২– ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। ৩– চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। ৪– ধুমপান, জর্দা, তামাকপাতা, গুল ইত্যাদি দ্রব্য ব্যবহার চিরতরে বন্ধ করতে হবে। ৫– বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত হৃদরোগ হাসপাতালের বহিঃবিভাগে দেখা করুন অথবা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ৬– এনজিওপ্লাস্টি করার প্রথম সপ্তাহে বিশ্রামে থাকতে হবে। পরবর্তীতে প্রতিদিন হাল্কা কাজ কর্ম থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে হবে। খাদ্য নির্দেশনাঃ এনজিওপ্লাস্টি করা রোগীদের খাদ্য নির্দেশনা করোনারি হৃদরোগীদের খাদ্য নির্দেশনার অনুরূপ। অর্থাৎ–…
Read Moreমেয়েদের ঋতুচক্র বা মাসিক
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। এর তিনটি অংশ, ১মটি চারদিন স্থায়ী হয় (৪-৭ দিন) এবং একে মিনস্ট্রাল ফেজ, ২য়টি ১০দিন (৮-১০ দিন) একে প্রলিফারেটিভ ফেজ এবং ৩য়টি ১৪ দিন (১০-১৪ দিন)স্থায়ী হয় একে সেক্রেটরি ফেজ বলা হয়। মিনস্ট্রাল ফেজ এই যোনি পথে রক্ত বের হয়। ৪-৭ দিন স্থায়ী এই রক্তপাতে ভেঙ্গে যাওয়া রক্তকনিকা ছাড়াও এর সাথে শ্বেত কনিকা, জরায়ুমুখের মিউকাস, জরায়ুর নিঃসৃত আবরনি, ব্যাকটেরিয়া, প্লাজমিন, প্রস্টাগ্লানডিন এবং অনিষিক্ত…
Read Moreশিশুটি কি অটিজমের আশংকা মুক্ত?
মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল, ইউএসএ এর একটি ভয়াবহ সমীক্ষা বের হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি ৬৮ জন বাচ্চার মধ্যে ১ জন বাচ্চা অটিজমে আক্রান্ত। অটিজম একটি স্নায়বিক ও বুদ্ধি বিকাশ গত সমস্যা যার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো প্রমাণিত নয়, তবে অসংখ্য গবেষণা নির্দেশ করছে পরিবেশ দূষণ, ভেজাল খাদ্য (টক্সিক মেটাল, কীটনাশক, প্রিজারভেটিভ ইত্যাদি মেশানো), টিকা-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বংশগতি ইত্যাদি অটিজমের পেছনে ভুমিকা পালন করে থাকে। কখন আপনি বুঝবেন আপনার বাচ্চার বিকাশ গত সমস্যা থাকতে পারে? সাধারণত ১৮ মাস থেকে ২ বছর বয়সের মধ্যে মা বাবা বাচ্চার আচরণে অস্বাভাবিকতা…
Read Moreসন্তানের জন্ম — ৩৯-৪১ সপ্তাহ পর ঝুঁকি কম
নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই অস্ত্রোপচার বা প্রসবব্যথা ত্বরান্বিত করার ওষুধের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়। এত দিন ধারণা ছিল যে মায়ের গর্ভে ৩৪ বা ৩৬ সপ্তাহ থাকার পর সন্তানের জন্ম স্বাভাবিক প্রসব হওয়ার মতোই নিরাপদ। কিন্তু মার্কিন বিজ্ঞানীরা কয়েক বছর দুই উপায়ে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের ওপর গবেষণা চালিয়ে বলছেন ভিন্ন কথা। ৩৯-৪১ সপ্তাহ মায়ের গর্ভে থাকার পর জন্ম নেওয়া নবজাতকদের অসুস্থতার ঝুঁকি সবচেয়ে কম। এর আগে জন্ম নেওয়া নবজাতকেরা ৯২ শতাংশ বেশি রক্তে শর্করাস্বল্পতায় ভোগে, ৯৩ শতাংশ বেশি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় চিকিৎসা লাগে, ৬৮ শতাংশ বেশি শিরায় স্যালাইন দেওয়ার…
Read More