বিভিন্ন কারনে বা অনেক সময় অকারনেও আমরা প্যারাসিটামল গ্রহন করে থাকি। আমাদের অনেকের মধ্যেই এ ভুল ধারনা রয়েছে যে প্যারাসিটামল দেহে ক্ষতি করেনা।
একসাথে অনেক গুলো প্যারাসিটামল খেলে তা জীবনের জন্য হুমকি হবে তা বলার অপেক্ষা রেখেনা, তবে গবেষকরা সম্সপ্রতি এ মর্মে সতর্ক করেছেন যে দীর্ঘ দিন ধরে সামান্য বেশি পরিমান প্যারাসিটামল খেয়ে গেলেও তা জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
যারা ব্যাথার কারনে দির্ঘ দিন ধরে প্যারাসিটামল খেয়ে যাচ্ছেন, তারা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না যে তারা মাত্রাতিরিক্ত প্যারাসিটামল সেবন করছেন। তারা অনেক সময় এটার কারনে সৃষ্ট লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হবার লক্ষন গুলোও ধরতে পারেন না।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ফার্মাকলজি’তে গবেষকরা প্রকাশকরেছেন যে প্যারাসিটামল এর কারনে সৃষ্ট পার্শপ্রতিক্রিয়া ও লিভা ক্ষতিগ্রস্থ হবার লক্ষন গুলো অধিকাংশ সময়ই এমনকি ডাক্তারের নজর ও এড়িয়ে যায়। কারন একসাথে অনেক প্যারাসিটামল সেবন করলে রক্ত পরিক্ষায় যে ধরনের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বেশি সেবন কারিদের রক্তে তা পরিলক্ষিত হয় না। কিন্তু ক্ষতির পরিমান এ ক্ষেত্রে বেশি বই কম নয়।
স্কটিশ ইউনিভার্সিটি হসপিটালের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের একটি গবেষনায় ড. কেনিথ সিম্পসন দেখিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল সেবনকারী দের লিভার ও ব্রেইন এর ড্যামেজ হবার হার অত্যাধিক বেশি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন হলে এদের ডায়ালাইসিস ও ক্ষেত্রবিশেষে ক্রির্তৃম শ্বাস প্রশ্বাস দিতে হয়।
ড. সিম্পস বলেন, আত্মহত্যার জন্য অনেকেই একসাথে অত্যাধিক প্যারাসিটামল সেবন করেথাকেন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে প্যারাসিটামল সেবন কারিদের ক্ষেত্রেও জীবন নাশের আশংকা কম নয়, বরং বেশি।
রয়্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটির প্রফেসর রজার ন্যাগ বলেন, ”ব্যাথা না কমলে প্যারাসিটামল এর ডোজ না বাড়িয়ে উচিৎ হবে আপনার ফার্মাসিস্ট এর সাথে কথা বলা অথবা এ সংক্রান্ত প্রফেশনালদের সাথে দেখা করা”।