পিত্তনালিতে ক্রিমি

আমাদের দেশের প্রায় সব মানুষই কোনো না কোনো সময় কৃমি (Worm, helminthiasis) রোগে ভুগে থাকেন। এসব ক্রিমির মধ্যে গোল কৃমি (Round worm, Ascaris lumbricoides) অন্যতম। এই গোল কৃমি একসময় চলতে চলতে ক্ষুদ্রান্ত হয়ে পিত্তনালিতে প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে আক্রান্ত মানুষের পেটের উপড়ের অংশে তীব্র ব্যথা হয় এবং মানুষটি সাথে সাথে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর ফলে একসময় পিত্তনালির সরু হয়ে যাওয়া, ঘা হয়ে পুঁজ হয়ে যাওয়া, যকৃত এবং পিত্তথলিতে পুঁজ জমে যাওয়া সহ নানা জটিল পরিস্থিতির আবির্ভাব ঘটতে পারে। তবে কৃমিটি যদি জীবিত অবস্থায় শুধু পিত্তনালির মুখে প্রবেশ করা অবস্থায় চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া যায় তাহলে তা কেবল অসুধ সেবনের মাধ্যমে পিত্তনালি থেকে বের করে দেয়া যায়।

এর পর যথারীতি রোগীকে কৃমিনাশক অসুধ খাইয়ে এই রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচানো সম্ভব। তবে অসুধে কাজ না হলে ERCP করেও ক্রিমিটি বের করে নিয়ে আসা যায়। কৃমিটি যদি পিত্তনালিতে মারা গিয়ে থাকে বা আটকে যায় বা অন্য জটিল কোনো সমস্যার সৃষ্টি করে তাহলে রোগীর অপারেশন (Choledochotomy) লাগতে পারে। অপারেশন করে ক্রিমি বা এর সৃষ্ট জটিলতা সরিয়ে দিলে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। নিয়মিত ৬ মাস পরপর ক্রিমিনাশক খেলে এই রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

Related posts

Leave a Comment