চীনের মেয়েরা নখে নতুনত্ব আনতে নেইলপলিশ ব্যবহার করত, যা তৈরি হতো গাম, মোম ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে। কিন্তু পরে নখ রাঙাতে এসেছে বিচিত্র পদ্ধতি ও ডিজাইন। এখন নেইলপেইন্ট খুব জনপ্রিয়। ঘরে বা পারলারে নেইলপেইন্ট করতে পারেন।
ঘরে বসে নেইলপেইন্ট করতে প্রথমেই রং নির্বাচন করুন। কটন বল, রিমুভার, টাওয়েল, নিউজপেপার ও ক্লিয়ার নেইলপলিশ স্টোন, স্টিকার আগেই গুছিয়ে রাখুন হাতের কাছে। পেইন্ট করার সময় মনে রাখতে হবে, যেখানে বসে কাজটি করছেন, সেখানে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে।
পেইন্টের শুরুতে ক্লিয়ার নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। নিয়ম হচ্ছে পেইন্ট বা পলিশ প্রথমে মাঝ বরাবর লম্বা করে তারপর বাঁয়ে ও ডানে লাগাতে হয়। ক্লিয়ার পলিশ শুকিয়ে গেলে পছন্দসই পেইন্ট লাগান এবং শুকান। এরপর পেইন্টের ওপর দ্বিতীয়বারের মতো ক্লিয়ার নেইলপলিশ লাগান। এভাবে আপনার পছন্দমতো নেইলপেইন্ট করতে পারেন।
স্টোন, স্টিকার ও গি্লটার
নেইলপলিশ ছাড়াও নখে স্টোন, স্টিকার ও গি্লটার লাগানো যায়। এগুলো লাগাতে টুইজার, নেইলজেল বা নেইলগাম প্রয়োজন। নেইল আর্ট দোকান থেকে ও সংগ্রহ করতে পারেন। স্টোনের পরিবর্তে ছোট ফ্ল্যাট বোতামও ব্যবহার করতে পারেন। স্টোন দুইভাবে লাগাতে হয়। প্রথমত, স্টোন বা স্টিকার গাম দিয়ে নখে লাগিয়ে শুকিয়ে নিন। এরপর তার ওপর নেইলপলিশ লাগান। নয়তো আগে নেইলপলিশ লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে তার ওপর গাম দিয়ে স্টিকার, স্টোন ও গি্লটার লাগান। এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের গি্লটারযুক্ত নেইলপলিশ পাওয়া যায়। সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।
আরেক পদ্ধতিতে গি্লটার লাগানো যায়। যেমন_নখে নেইলপলিশ লাগিয়ে তার ওপর ডাস্ট গি্লটার ছড়িয়ে দিন। শুকালে আবার ক্লিয়ার নেইলপলিশ লাগান।
নখের গয়না
নখের অনুষঙ্গ এখন বিভিন্ন ধরনের জুয়েলারি। ব্যবহার করতে নখ একটু বড় রাখতে হবে। বিশেষ ইনস্ট্রুমেন্ট দিয়ে নখ ছিদ্র করে নেইলপলিশ লাগান। পলিশ শুকিয়ে গেলে নখের ছিদ্রে গোল্ডেন, সিলভার বা যেকোনো মেটালের ছোট রিং লাগান। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, তাই নিজে চেষ্টা না করে ভালো কোনো পারলারে করান। নখে পেইন্ট করার জন্য নেইল আর্ট সপে নেইলপেইন্টের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের ব্লক ও পেন পাওয়া যায়, যার সাহায্যে আপনি আপনার নখ সুন্দরভাবে সাজাতে পারেন।