দুরারোগ্য ক্যান্সার চিকিৎসায় বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক ‘পজিট্রন ইমিশন টমোগ্রাফি’ (পেট) ডিভাইস আনা হচ্ছে। মহাখালী ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে এই ডিভাইস বসানো হবে। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি হচ্ছে আধুনিক মেডিকেল ইমেজিং ডিভাইস প্রযুক্তি; যা ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করবে। একনেকের সভায় অনুমোদনের জন্য এর প্রজেক্ট প্রফর্মা (পিপি) পেশ করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আগামী ২ বছরের মধ্যে এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনের কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ডিভাইসগুলো সচল রাখার জন্য আণবিক শক্তি কমিশনে বসানো হবে ‘সাইক্লোট্রন’ নামক প্রযুক্তি। এটি থেকে উৎপাদন করা হবে আণবিক তেজষ্ক্রিয় ‘আইসোটোপ’ কমপাউন্ড। এই আইসোটপ কমপাউন্ড দিয়েই চিকিৎসা করা হবে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের। প্রথমে ‘পেট’ ডিভাইসটি বসানো হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালে। পর্যায়ক্রমে অন্য হাসপাতাল ও নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে পেট বসানো হবে।
সূত্রগুলো আরো জানায়, সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় ‘পেট’ ডিভাইসটি বসানো হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী কলকাতা থেকে এই ডিভাইসের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিটি পেট ডিভাইসের মূল্য পড়বে ২০ কোটি টাকা। অন্যদিকে আণবিক শক্তি কমিশনে যে ‘সাইক্লোট্রন’ প্রযুক্তিটি বসানো হবে তার দামই হচ্ছে ৪০ কোটি টাকা। সে মোতাবেক দেশের ৪টি চিকিৎসা কেন্দ্রে কেনা ৪টি পেট ডিভাইসের প্রাথমিক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের পরিচালক ডা. সানোয়ার হোসেন জানান, এই ডিভাইসটি সিটি স্ক্যানের চেয়ে আপগ্রেড প্রযুক্তি। ক্যান্সার চিকিৎসায় পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যেসব প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছে এটি হচ্ছে তার মধ্যে উন্নতমানের ডিভাইস। রোগ ম্যানেজমেন্টের জন্য এটার বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।