পিত্তথলির ক্যান্সার

পিত্তথলি বা গল ব্লাডার এ পাথর হলে তা অপারেশন করে ফেলে দেয়া হয় এবং অপারেশনের পরপর সাধারনত ঐ পিত্তথলিটির বায়োপসি পরীক্ষা করানো হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা যায় যে পাথর ভর্তি গলব্লাডার এ ক্যান্সার হয়ে গেছে। এমনিতে গলব্লাডারে ক্যান্সার হয়ে খুব বেশী রোগী যে ডাক্তার এর কাছে আসেন তা কিন্ত নয় বরং অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় এই অঙ্গটির ক্যান্সার হবার হার তুলনামুলকভাবে অনেক কম। সাধারনত দীর্ঘ দিন ধরে যারা পিত্তথলির পাথরে ভুগেন বা যাদের পিত্তথলি ক্যালসিয়াম জমে শক্ত হয়ে যায় তাদের মাঝেই এই ক্যান্সার হবার প্রকোপ বেশী।

কারো যদি আগে থেকে পিত্তথলিতে পাথর থেকে থাকে এবং নতুন করে পেটের উপড়ের ডান দিকে তীব্র ব্যথা হয় এবং চাকার মতো একটা ফুলে উঠে বা সেই সাথে জন্ডিস শুরু হয় অনুমান করা হয় তাদের হয়তো পিত্তথলিতে ক্যান্সার এর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। তবে সত্যিই যদি ক্যান্সার এর সাথে জন্ডিস থাকে তাহলে বোঝা যায় যে ক্যন্সারটি অনেক দূর এগিয়েছে।

রক্তে CA 19-9 নামক মারকার পাওয়া গেলে অনেক সময় অনুমান করা যায় যে গলব্লাডার এ ক্যান্সার হয়েছে। এমন অনুমান হলে গল ব্লাডার এর বায়োপসি তো করাতে হয়ই তার সাথে কোলাঞ্জিওগ্রাম, পেট ও বুক এর সিটি স্ক্যান, লিভার এর এনজিওগ্রাম সহ ল্যাপারোস্কপি করে দেখতে হয় রোগটা কতদুর ছড়িয়েছে। ক্যান্সার যদি শুধু পিত্তথলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে রোগীর সেই ক্যান্সার নিয়ে বাড়তি ঝুকির সম্ভাবনা খুব কম, তবে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে রোগীর মৃত্যুর ঝুকি বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় লিভার এর ডান পাশের অর্ধেকটা ফেলে দিয়ে রোগীর ক্যান্সার নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার এ কেমোথেরাপিও ব্যবহার করা হয়। তবে পিত্তথলির ক্যান্সার এর সাথে যদি এর কারনে জন্ডিস এর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এর পরিনতি ভয়াবহ বলেই ধরে নেয়া হয়।

Related posts

Leave a Comment