ব্রেস্ট ফিডিং ও ফ্যামিলি প্ল্যানিং

সন্তান জন্মদানের পর কিছু হরমোনের প্রভাবে মহিলাদের ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আবার গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। যতদিন হরমোনের প্রভাব থাকে ততদিন মা আবার গর্ভধারণের ঝুঁকিমুক্ত থাকেন। একেকজনের ক্ষেত্রে এ প্রভাব একেক দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। কতদিন আপনি ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন তা নির্ভর করে আপনি কতদিন এবং কতবার আপনার সন্তানকে বুকের দুধ বা ব্রেস্ট ফিড করাচ্ছেন। আমেরিকান কলেজ অব গাইনোকলজিস্টের মতে, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিংয়ের মাধ্যমে ছয় মাস পর্যন্ত গর্ভধারণ বা প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করা যায়।

উল্লেখ্য, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং মানে সন্তানকে জন্মের পর থেকে শুরু করে টানা ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো। এ সময় সন্তানকে অন্য কিছু এমনকি এক ফোঁটা পানি খাওয়ানো যাবে না। এ সময় শিশু বুকের দুধের মাধ্যমে তার পানির চাহিদা পূরণ করতে পারে। ব্রেস্ট ফিডিংয়ের মাধ্যমে প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করতে হলে শিশুকে চার ঘণ্টা অন্তর দিনের বেলা এবং ছয় ঘণ্টা অন্তর রাতের বেলা বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তবে বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্য খাবার বা টিনের দুধ খাওয়াতে প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ফিডিংয়ের পাশাপাশি জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া প্রেগন্যান্সির পর মাসিক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম নিয়ন্ত্রণের অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

সঠিক নিয়মে ব্রেস্ট ফিডিং করালে প্রায় ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের ছয় মাস পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে ঘনঘন বুকের দুধ না খাওয়াতে এ পদ্ধতি খুব একটা কার্যকর হবে না।

Related posts

Leave a Comment