নাক কান ও গলা শরীরের এই তিনটি অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি হতে পারে। সাধারণ হাঁচি-সর্দি থেকে শুরু করে গলার ক্যান্সার সবই রয়েছে এই তালিকায়। স্বল্পপরিসরে সেইসব রোগের কয়েকটি সম্পর্কে ধারণা দেয়া হল।
নাকের এ্যালার্জি: এটি এ্যালার্জিজনিত নাকের প্রদাহ। ধূলোবালি, ঠাণ্ডা-গরমসহ বিভিন্ন ধরনের এ্যালার্জি উদ্রেককারী উপাদান এর কারণ। রোগটি স্থায়ীভাবে নিরাময়যোগ্য না হলেও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ওষুধের ব্যবহার ও এ্যালার্জি উদ্রেককারী বস্তুসমূহ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়।
নাক দিয়ে রক্তপড়া: নাকদিয়ে রক্ত পড়ার অনেক কারণ আছে। ছোটদের ক্ষেত্রে সাধারণত নাক খোঁটার কারণে নাকে ক্ষত হয়ে রক্তপাত হয়। বড়দের ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কারণে নাক দিয়ে রক্ত ঝরে। এছাড়া নাকের পিছনের দিকের অংশে রক্তনালী সংশ্লিষ্ট টিউমার, রাইনাস্পোরিওডিওসিস ইত্যাাদি কারণেও নাক দিয়ে রক্ত পড়ে থাকে।
নাকের পলিপ: সাধারণত দীর্ঘদিন নাকে এ্যালার্জি থাকলে এমনটি হয়ে থাকে। নাকের মধ্যে মিউকাস ঝিল্লিগুলো ফুলে আঙ্গুরের দানার মতো বিভিন্ন আয়তনের হয়ে থাকে। নাকের পলিপে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে মাথাব্যথা হতে পারে। এই সমস্যার জন্য অপারেশন করার দরকার পড়ে। সনাতন পদ্ধতির অপারেশনে আবার পলিপ দেখা দেয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু আধুনিক এন্ডোস্কোপিক সার্জারির মাধ্যমে রোগটি নিরাময়ে প্রভূত সাফল্য এসেছে। প্রাথমিক অবস্থায় স্টেরয়েড সেপ্র ব্যবহার করে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
সাইনাসের ইনফেকশন: সাধারণত নাকে এ্যালার্জি ও পলিপ, নাকের হাড় বাঁকা ইত্যাদি কারণে নাকের দুই পাশের ম্যাক্সিলারি সাইনাসে ইনফেকশন দেখা দেয়। এক্ষেত্রে মাথাব্যথাই মূল উপসর্গ। সাইনাসের একটি এক্সরে করলেই রোগ সম্পর্কে অনেক ধারনা পাওয়া যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধ ব্যবহার, পরবর্তীতে সাইনাস ওয়াশ এবং শেষ পর্যায়ে এন্ডোস্কোপিক সাইনাস সার্জারি করে রোগটি সারানো যায়।