কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা

সমস্যাঃ আমার বয়স ২৩ বছর। উচ্চতা পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চি, ওজন ৬১ কেজি। আমি বেশ কয়েক বছর ধরে ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছি। একটু ঠান্ডা লাগলেই নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়। যখন খুব বেশি ঠান্ডা লাগে তখন শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকের ভেতর চাপ অনুভব করি। অনেক সময় কাশি ও শ্বাসকষ্টের জন্য রাতে ঘুমাতেও কষ্ট হয়। বছরের এ সময় কষ্টের তীব্রতা বেড়ে যায়। আমার খাবারে কিছুটা অ্যালার্জি আছে। যেমন-চিংড়ি মাছ, ইলিশ মাছ খেলে আমার হাঁচি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় এবং ত্বকে লাল র‌্যাশ হয়। সমস্যাগুলোর জন্য আমি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখিয়েছি। কিন্তু ঠান্ডা লাগা কমছে না। কীভাবে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠব? অ্যালার্জি ও ঠান্ডার সমস্যা কি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব?
নিয়াজ আহমেদ
ধামরাই, ঢাকা।

পরামর্শঃ আপনি সম্ভবত অ্যালার্জিজনিত রোগ অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও ব্রংকিয়াল অ্যাজমা রোগে ভুগছেন। তবে এ রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু পরীক্ষা করাতে হবে। যেমন-কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, টোটাল ইয়োসনোফিল কাউন্ট, স্পিউটাম ইয়োসনোফিল কাউন্ট, স্কিন টেস্ট ফর অ্যালার্জি, সেরাম আইজিই, লাং ফাংশন টেস্ট বা স্পাইরোমেট্রি এবং বুকের এক্স-রে। তবে পরীক্ষাগুলো অবশ্যই একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করাবেন। অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের জন্য প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে, তা হলো যে যে কারণে আপনার এই সমস্যাটা বাড়ে, তা চিহ্নিত করা এবং যতটুকু সম্ভব তা এড়িয়ে চলা। নিয়মিত লং অ্যাকটিং অ্যান্টিহিস্টামিন, যেমন-লরাটাডিন, ডিসলরাটাডিন ট্যাবলেট, মাস্টসেল স্টেবিলাইজার, কিটোটিফেন ট্যাবলেট, স্টেরয়েড নাকের স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাজমার জন্য রোগ প্রতিরোধকারী স্টেরয়েড ইনহেলার, যেমন-বেকলো মিথাসন, ফ্লটিকাসন, লং অ্যাকটিং থিয়ো ফাইলিন, মনটিলুকাস্ট ট্যাবলেট ও উপশমকারী ইনহেলার সালবিউটামল ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই একজন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধের প্রকার, সঠিক মাত্রা এবং কত দিন নিতে হবে জেনে নেবেন। যদি আপনার রোগটি অ্যালার্জিক রাইনাইটিস ও অ্যাজমা হয়, সে ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাময়ও সম্ভব।

Related posts

Leave a Comment