আমাদের শরীরে দুই ধরনের শিরা আছে, একদল থাকে শরীরের উপরিভাগে -চামড়ার নীচে যা আমরা খালি চোখে দেখতে পারি (Superficial vein)। আর একদল আছে যারা থাকে মাংশপেশীর গভীরে, যা বাইরে থেকে দেখা যায়না(Deep vein)। এরাই বেশিরভাগ রক্ত প্রবাহ হৃদপিন্ডে নিয়ে আসে। এই গভীরের রক্তনালীগুলোতে রক্ত জমাট বেধে গেলেই ডিভিটি হয়।
ডিভিটি বা ইকনোমি ক্লাশ সিন্ড্রম হলে সাথে সাথেই চিকিৎসা শুরু করা উচিত। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে এটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং পায়ে ঘা হয়ে যেতে পারে। বেশী দেরি করলে এমনকি পা কেটে ফেলা দেবার ও প্রয়োজন পরতে পারে। এখান থেকে জমাট রক্ত ছুটে ফুসফুসে গিয়ে মৃত্যু ঘটার নজির ও কিন্ত কম নয়।
ষাটোর্ধ বয়স, ক্যান্সার, মেদবহুল শরীর, গর্ভাবস্থা, জন্মনিয়ন্ত্রনের বড়ি খেয়েচলা, কোমড়ের বা হাটুর বড় অপারেশন করানো, দীর্ঘ সময় পা না নাড়িয়ে বসে থাকা ইত্যাদি নানা কারনে ডিভিটি হতে পারে। ডুপ্লেক্স (Duplex) স্ক্যান পরীক্ষার মাধ্যমে এটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব।
রক্তনালী বিশেষজ্ঞগন (Cardiovascular surgeon) এই রোগের চিকিৎসায় রক্ত পাতলা করার জন্য রক্তনালীতে হেপারিন ইঞ্জেকশন দিয়ে থাকেন। এছাড়া রোগ পরবর্তী সময়ে ওয়ারফেরিন ট্যাবলেট ও অন্যন্য রক্ত পাতলাকারি অসুধ দিয়ে থাকেন। এই রোগীকে হাটা চলার সময় ক্রেপ ব্যান্ডেজ নামক এক ধরনের বিশেষ আবরনী পায়ে পরে থাকতে হয়। ঘুমানোর সময় ক্রেপ ব্যান্ডেজ খুলে শুতে হয় এবং পায়ের নীচে বালিশ দিয়ে পা সামান্য উচু করে শুতে হয়।