[কোলকাতা স্বাস্থ্য বাংলা প্রতিনিধি] চেন্নাইয়ের জনপ্রিয় ARC ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলিটি এন্ড রিসার্চ সেন্টার’এর যাত্রা শুরু হলো এবার কোলকাতায়। ভারতের প্রখ্যাত আইভিএফ ও বন্ধ্যাত্ব গবেষণা কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের নিঃসন্তান দম্পতিদের কম খরচে বন্ধ্যাত্বের অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি ARC ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলিটি এন্ড রিসার্চ সেন্টারের একটি স্বয়ংসম্পুর্ণ ফার্টিলিটি সেন্টার চালু হয়েছে কোলকাতার ইএম বাইপাসে। ইনফার্টিলিটি স্পেশালিষ্ট ও ARC ইন্টারন্যাশনাল ফার্টিলিটি সেন্টারের চীফ কন্সালট্যান্ট ডাঃ স্বাতী মিশ্র’র তত্ত্বাবধানে এখানে মেল-ফিমেল ইনফার্টিলিটি সমস্যাসহ আইইউআই, আইভিএফ, ইকসি ও অন্যান্য সকল প্রকার বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ভারতের চেন্নাই, ভ্যেলোর, মাদুরাই, কোচি, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন লোকেশনে …
Read MoreCategory: গর্ভকালীন স্বাস্থ্য
ধূমপান কি প্রজননক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে? – ডাঃ সুজয় দাসগুপ্ত
ধূমপান কি প্রজননক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে? – ডাঃ সুজয় দাসগুপ্ত ধূমপান কি বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা করে? ধূমপান কমালে কি আমার প্রজননক্ষমতা বেড়ে যাবে? আমি ধূমপায়ী বাচ্চা নিতে চাইলে আমার কি করা উচিৎ? এমন সব নানা প্রশ্নের জবাব নিয়ে কোলকাতার প্রতিশ্রুতিশীল গাইনোকোলজিস্ট ও প্রথিতযশা ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুজয় দাসগুপ্ত’র অনবদ্য লেখনীতে স্বাস্থ্য বাংলার বিশেষ আয়োজন) আমি ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ এবং আমরা একটি শিশুর জন্য পরিকল্পনা করছি। ধূমপান বন্ধ করা কি আমার প্রজননক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে? ধূমপান শুক্রাণুর পরিমাণ (স্পার্ম কাউন্ট) এবং গুণগত মান (মোটিলিটি এবং মর্ফোলজি) কমাতে পারে।…
Read Moreভয় নয়, থ্যালাসেমিয়া জয় করেই আগামীর শিশুটি ভূমিষ্ঠ হোক
ভয় নয়, থ্যালাসেমিয়া জয় করেই আগামীর শিশুটি ভূমিষ্ঠ হোক [ডাঃ সুজয় দাসগুপ্ত] (থ্যালাসিমিয়ার বাহক কিনা তা আমরা কিভাবে জানতে পারি? উভয়ই থ্যালাসিমিয়া বাহক, বিয়েতে কি কোন সমস্যা আছে ? স্বামী বা স্ত্রী বা উভয়েই থ্যালাসিমিয়ার বাহক আমরা কিভাবে বেবী নিতে পারি, বা এক্ষেত্রে আইভিএফ করা যায় কিনা? এমন সব নানা প্রশ্নের জবাব নিয়ে কোলকাতার প্রতিশ্রুতিশীল গাইনোকোলজিস্ট ও প্রথিতযশা ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুজয় দাসগুপ্ত’এর অনবদ্য লেখনীতে আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে স্বাস্থ্য বাংলার বিশেষ আয়োজন) গল্প ১: সৈকত এবং তানিয়া; ছয় মাস দেখাশোনা করে বিয়ে করেছিল। উভয় পক্ষের পারিবারিক সদস্যরা সকল সম্ভাব্য…
Read Moreসন্তানের জন্ম — ৩৯-৪১ সপ্তাহ পর ঝুঁকি কম
নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের খানিক আগেই অস্ত্রোপচার বা প্রসবব্যথা ত্বরান্বিত করার ওষুধের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়। এত দিন ধারণা ছিল যে মায়ের গর্ভে ৩৪ বা ৩৬ সপ্তাহ থাকার পর সন্তানের জন্ম স্বাভাবিক প্রসব হওয়ার মতোই নিরাপদ। কিন্তু মার্কিন বিজ্ঞানীরা কয়েক বছর দুই উপায়ে জন্ম নেওয়া নবজাতকদের ওপর গবেষণা চালিয়ে বলছেন ভিন্ন কথা। ৩৯-৪১ সপ্তাহ মায়ের গর্ভে থাকার পর জন্ম নেওয়া নবজাতকদের অসুস্থতার ঝুঁকি সবচেয়ে কম। এর আগে জন্ম নেওয়া নবজাতকেরা ৯২ শতাংশ বেশি রক্তে শর্করাস্বল্পতায় ভোগে, ৯৩ শতাংশ বেশি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় চিকিৎসা লাগে, ৬৮ শতাংশ বেশি শিরায় স্যালাইন দেওয়ার…
Read Moreডায়াবেটিক নারীদের মা হওয়ার প্রস্তুতি
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রজননক্ষম রোগীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক হচ্ছেন নারী। গর্ভকালীন ২ থেকে ৫ শতাংশ নারী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন। এঁদের মধ্যে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ মা গর্ভজনিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন এবং ১২ দশমিক ৫ শতাংশ মা গর্ভধারণের আগে থেকেই ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।যেসব ডায়াবেটিক নারী সন্তান ধারণ করতে ইচ্ছুক, তাঁদের জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত সতর্কতা ও সঠিক পূর্বপ্রস্তুতি। কেননা, ডায়াবেটিসজনিত বিভিন্ন জটিলতা যেমন রেটিনা-কিডনি-স্নায়ু-রক্তনালির রোগ গর্ভকালীন জটিলতর হতে পারে। যাঁদের শর্করা নিয়ন্ত্রিত নয়, তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন গর্ভকালীন জটিলতার ঝুঁকি বেশি। যেমন: গর্ভপাত, প্রি-একলাম্পসিয়া, মেয়াদের আগেই প্রসব ইত্যাদি। মায়ের রক্তে উচ্চ শর্করা গর্ভের শিশুর…
Read Moreগর্ভকালীন স্বাস্থ্য পরিচর্যা
গর্ভধারণ একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার। স্বাভাবিক হলেও এ সময় শরীরে কিছু পরিবর্তন ঘটে। সে জন্য গর্ভকালীন সময়ে কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যসমস্যা দেখা দেয়। এগুলো তেমন উদ্বেগের বিষয় নয়, সহজেই এসবের সমাধান সম্ভব। তবে অনেক সময় বা অনেকের ক্ষেত্রে এসব সাধারণ সমস্যাও বেশ কষ্ট দেয়। গর্ভকালীন কয়েকটি সাধারণ স্বাস্থ্যসমস্যা সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো: বমি বমি ভাব বা বমিদিনের শুরুতেই গর্ভবতীর বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয়। প্রথম দিকে গর্ভ সঞ্চারের লক্ষণও এটি। দিনের অন্য যেকোনো সময়ও বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। সাধারণত গর্ভকালীন মায়েদের প্রথম তিন মাস পর্যন্ত এ…
Read Moreগর্ভপাত করানোর স্বাস্থ্যগত কারন
গর্ভাশয়ের ভ্রুনটি ডিম্বানু নিষেকের পর থেকে পরবর্তী পাঁচ মাসের (২০ সপ্তাহ) মধ্যে যে কোন সময়ে প্রসবের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাবার নামই গর্ভপাত বা Abortion। বর্তমান বিশ্বে অধিকাংশ গর্ভপাতই হয় ইচ্ছাকৃত ভাবে ভ্রুন নষ্ট করার কারনে। পাঁচ মাস (২০ সপ্তাহ) বয়সের পর শিশুর সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গঠনই শেষ হয়ে যায়, তাই এসময়ে ইচ্ছাকৃত গর্ভপাত ঘটানোকে শিশু হত্যা বলাই শ্রেয়তর। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে, অনেক সময় মায়ের সন্তানটি ধারন করার ইচ্ছা থাকলেও নিজে নিজে গর্ভপাত (Miscarriage) হয়ে যেতে পারে আবার মায়ের স্বাস্থ্য রক্ষা বা শিশুটিকে চরম দুর্ভাগ্যের (চরম প্রতিবন্ধি) হাত থেকে বাঁচাতেও…
Read Moreগর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য কিছু উপদেশ
একজন মহিলা যখন প্রখম বারের জন্য গর্ভধারন করেন তার কাছে অনেক কিছুই অজানা থাকে, এই সামান্য কিছু অজানা তথ্যের জন্য অনেক ধরনের কুসংস্কার মায়ের উপর চাপিয়ে দেয় অনেকেই। এজন্য গর্ভধারনের পরপরই একজন স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া উচিত। এতে যে শুধু মা সুস্থ্য থাকবে তা নয়, গর্ভের শিশুটির নিরাপত্তাও এর সাথে জড়িত। সাধারনভাবে এ সময়টাকে মা’কে অল্প কিছু নির্দেশ মেনে চলতে হয়, নিচে তেমন কিছু নির্দেশ লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করা হলো। ১. খাদ্যঃ মাকে এ সময় পুষ্টিকর, সহজপাচ্য ও অধিক আমিষ বা প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়…
Read More