‘P4HW’ – আধুনিক ও কার্যকর একটি যুগান্তকারী ওজন কমানো ও স্লিমিং পদ্ধতি
– রুনা লায়লা।
নিজেকে সুন্দর করে সাজানো, আবহমান কাল ধরেই সচেতন নারীদের একটি সহজাত প্রচেষ্টা। তাইতো সৌন্দর্য চর্চা বিষয়টি নানা ফর্মে সেই প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। আর সৌন্দর্য চর্চা’র ক্ষেত্রে দেহ সৌষ্ঠব্য একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখন ফ্যাশন মানেই স্লিম অ্যান্ড ট্রিম। তাইতো জিরো ফিগার খ্যাত বলিউড কন্যা কারিনা কাপুর ফিগার সচেতন অনেক নারীর কাছেই এক আইডল।
নারী-পুরুষ আমরা সবাই চাই নিজেকে অন্যের কাছে একটু স্মার্ট করে তুলে ধরতে। কিন্তু আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই নিজের ফিগারটার কথা ভাবলেই মিইয়ে যেতে হয়। তার ওপরতো রয়েছে ডায়েটিং, রেগুলার এক্সারসাইজ, জিমে যাওয়া এমন নানা ঝক্কি ঝামেলা। অন্যদিকে আমাদের অনেকেই নানা চটকদার বিজ্ঞাপন ও তথাকথিত অভিজাত স্লিমিং সেন্টারের খপ্পরে পড়ে স্লিমিং এর নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাইতো উন্নত বিশ্বে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন স্লিমিং পদ্ধতি নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। আবিষ্কৃত হয়েছে বেশ কয়েকটি ‘কম্বাইন্ড স্মিলিং মেথড’। প্রাসঙ্গিক একটি ঘটনা উল্ল্যেখ করার লোভ সংবরণ করতে পারছি না, এবছরের ১৮ই এপ্রিল দিল্লীতে অনুষ্ঠিত বলিউডের নন্দিত তারকা শিল্পা শেঠী’র ‘স্টুডিও টক’এ উপস্থিত থাকার সুযোগ হয়েছিলো আমার, সেখানে তাঁর স্লিম থাকা নিয়ে ভক্তদের জোরাজুরিতে শেষ পর্যন্ত তিনি মুখ খুলেন, আর প্রয়োজনীয় পুষ্টি সমৃদ্ধ কিছু খাদ্য তালিকা, স্বল্প সময়ের থেরাপিউটিক শারীরিক এক্সারসাইজ আর সেইসাথে প্রযুক্তি নির্ভর একটি ‘কম্বাইন্ড স্মিলিং মেথড’এর গুরুত্বের কথা বলেন তিনি।
এমনি একটি স্লিমিং মেথড ‘P4HW’ যা এদেশে এই প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে, ঢাকার নিউ ইস্কাটনস্থস ‘ফিজিও ফর হেলথ এন্ড ওয়েলনেস’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যা জানলাম তাতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে স্থুলতা আর মেদ কে বিদায় জানানোর পদ্ধতিটিতে চমৎকৃত না হয়ে পারা গেলো না।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডাঃ সালমা উর্মী জানালেন, কোনরূপ কাটা ছেড়া ও পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ‘P4HW’ একটি টোটাল বডি টোনিং অ্যান্ড শেপিং পদ্ধতি। তিনি হাসির ছলে বললেন, এক সপ্তাহেই ৫ কেজি ওজন কমিয়ে দেবার ইচ্ছা আমাদের নেই – তবে প্রয়োজনে এর চেয়ে বেশী ওজনও আমরা কমিয়ে দিতে পারি, তবে তা ক্লায়েন্টের ইচ্ছে ও প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁর বডি ম্যাপিং করে এবং তা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন ধরণের শারীরিক ক্ষতি সাধন ব্যতিরেকেই আমরা করতে চাই। এবং যেনো তা সম্ভাব্য লম্বা সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়, সেই বিষয়টিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
‘P4HW স্লিমিং মেথড’ অনুযায়ী প্রথমে আপনার ইচ্ছে ও চাহিদামতো বডি ম্যাপিং করে নিয়ে দেহের যেসব জায়গায় মেদ বেশি, সেসব অবাঞ্চিত মেদ লেজার লাইপোলাইসিস পদ্ধতির মাধ্যমে ঝড়িয়ে নেওয়া হয়। সেই সাথে আল্ট্রাসোনিক ফ্যাট লস থেরাপী, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বডি টোনিং থেরাপি, ইএমএস স্টিমুলেশন, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ প্রোগ্রাম ও নিউট্রিশনাল অ্যাডভাইসের সমন্বয়ে সংলিষ্ট এক্সপার্টের তত্ত্বাবধানে ফিগারকে আকর্ষণীয় ভাবে গড়ে তোলা হয়। প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ তিন দিন করে সেশন। কার কয়টি সেশন প্রয়োজন তা প্রথম কন্সাল্টেশনের সময় নির্ধারণ করা হয়। আর সম্পুর্ণ প্রোগ্রাম প্লান শেষে কেউ ইচ্ছে করলে সপ্তাহে একদিন স্বল্প সময়ের মেইন্টেইন্যান্স কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করতে পারেন।
নিত্য জিমে যাওয়ার ঝামেলা আর নেই, নেই খেতে বসার সময় শত চিন্তা কি খাবো কি খাবো না, নেই কঠোর ডায়েট প্লান বা পরিশ্রম! ‘P4HW’ সকল বয়সের নারী-পুরুষের জন্যই প্রযোজ্য। বেছে নিতে পারেন আপনার সামর্থ্যমতো কোন সাশ্রয়ী প্যাকেজও। টেলিফোনেও (01931 40 59 86) ফ্রী স্লিমিং কন্সাল্টেশনের সুযোগ রয়েছে।