তাহলে দাদু হওয়াই কি এ রোগ হবার কারন। আদৌ তা নয়। মধ্য বয়সেও এই রোগটি হতে পারে আবার বৃদ্ধ বয়সে এটি নাও হতে পারে। সোজা কথায় যারা খুব বেশী ধুমপান করে তারাই শুধুমাত্র এই রোগের শিকার। তবে অনেক সময় পেশাগত কারনে ধুলোময় পরিবেশে কাজ করা, বার বার শ্বাসের ইনফেকশন হওয়া বা দীর্ঘদিন স্যাঁতস্যাতে পরিবেশে থাকার কারনেও এই রোগ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
এরোগ হলে কখনোই তা পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়না তবে নিয়ম মেনে চললে এবং নিয়মিত চিকিৎসা করালে রোগ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। এজন্য প্রথমেই জেনে নেয়া প্রয়োজন আপনার রোগটি সি,ও,পি,ডি কিনা। বক্ষব্যধি বিশেষজ্ঞ গন এরোগ নির্নয়ে সিদ্ধহস্ত, তারাই সঠিক পরামর্শটি রোগীকে দিয়ে থাকেন। রোগ নির্নয়ে রোগীকে বুকের এক্সরে, পালমোনারি ফাংশন টেষ্ট (Spirometry), ব্লাড গ্যাস এনালাইসিস সহ অন্যান্য পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।
আগেই বলেছি কোনো অসুধেই এই রোগ পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবেনা, কেবল নিয়ন্ত্রন করা যাবে। এজন্য রোগীকে সারাজীবনের জন্য ধুমপান এবং তামাক জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগ করতে হবে। অল্পমাত্রার ব্রঙ্কোডাইলেটের জাতীয় অসুধ সেবন করতে হবে, শ্বাস কষ্ট হলে ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী স্টেরয়েড জাতীয় অসুধ ইনহেলারের মাধ্যমে সেবন বা ট্যাবলেট আকারে গ্রহন করতে হতে পারে। কোনো প্রকার শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসের ইনফেকশন হলে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। মনে রাখতে হবে সি,ও,পি,ডি কখনো ভালো হয়ে যায়না তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যি সতর্কতার সাথে সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে, এর অন্যথা হলে ফুসফুস ক্রমান্বয়ে নষ্ট হতে হতে একসময় নিশেষ হয়ে যেতে পারে এবং তাতে হঠাৎ শ্বাস কষ্টে রোগীর মৃত্যু বরণ করাটাও অস্বাভাবিক নয়।