এনজিওপ্লাস্টি (PTCA) করা রোগীদের জন্য পরামর্শ

পরামর্শ পত্রে প্রদত্ত অসুধ অবশ্যই নিয়মিত সেবন করতে হবে।

ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।

চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে।

ধুমপান, জর্দা, তামাকপাতা, গুল ইত্যাদি দ্রব্য ব্যবহার চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভব হলে বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত হৃদরোগ হাসপাতালের বহিঃবিভাগে দেখা করুন অথবা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

এনজিওপ্লাস্টি করার প্রথম সপ্তাহে বিশ্রামে থাকতে হবে। পরবর্তীতে প্রতিদিন হাল্কা কাজ কর্ম থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে হবে।

খাদ্য নির্দেশনাঃ

এনজিওপ্লাস্টি করা রোগীদের খাদ্য নির্দেশনা করোনারি হৃদরোগীদের খাদ্য নির্দেশনার অনুরূপ। অর্থাৎ

পরিহার করতে হবেঃ

কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত চর্বি (saturated fat) যুক্ত খাবার যেমন ডিমের কুসুম,কলিজা, মাছের ডিম, খাসি বা গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাসমুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি,মাখন, ডালডা, মার্জারিন, গলদা চিংড়ি, নারিকেল এবং উপরোক্ত উপকরণ দিয়ে তৈরী খাবার।

বেশী করে খেতে হবেঃ

আঁশ যুক্ত খাবার, যেমন সব রকমের শাক, সব রকমের সবজি(বিশেষ করে খোসা সহ সবজি যেমন ঢেড়স, বরবটি, শিম, কচুর লতি ইত্যাদি), সব রকমের ডাল, সব ধরনের ফল বিশেষ করে টক জাতীয় ফল। সব রকমের সমুদ্রের মাছ, ছোটো মাছ, মাছের তেল। সব রকমের উদ্ভিজ তেল, যেমন কর্ণ অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সয়াবিন অয়েল (পাম বা নারিকেল তেল নয়)

হিসাব করে খেতে হবেঃ

শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, আলু, চিনি ইত্যাদি। মিষ্টি ফল যেমন পাকা আম,পাকা কলা, পাকা পেপে ইত্যাদি। দুধ ও দুধের তৈরী খাবার।

পরিহার করতে হবেঃ

বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড (Fast food), যেমন বার্গার, স্যান্ডউয়িচ, কেক, পুডিং,আইসক্রিম, বোতলজাত কোমল পানিয় ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে এলকোহল বা তামাক জাতীয় দ্রব্য কোনো খাদ্য নয়, তাই এইসব পদার্থ থেকে যেকোনো মুল্যে দূরে থাকতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা তাদের জন্য নির্ধারিত খাদ্য তালিকা দেখে উপরের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে খাদ্য তালিকা তৈরী করে নিতে পারেন। রক্তে সুগার বেড়ে যায় এমন যেকোনো খাবার হৃদরোগের জন্যও পরিহার করা আবশ্যকিয়।

 

 

Related posts

Leave a Comment