সিফিলিস মারাত্নক যৌনরোগ। এর ফলে অন্ধত্ব, প্যারালাইসিস এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অধিকাংশ সময় সিফিলিস পুরুষের লিঙ্গ থেকে নারীর যোনিতে অথবা নারীর যোনি থেকে পুরুষের লিঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো কোনো সময় এটি মুখ থেকে বা মলাসয়ের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। সিফিলিসের চিকিৎসা খুব একটি জটিল নয়। অনেক সময় উপসর্গহীন সিফিলিস হতে পারে। পেনিসিলিন ইনজেকশন বা অন্যান্য এন্টিবায়োটিক হলো এর প্রধান চিকিৎসা।
প্রথম স্তনে সিফিলিস-
প্রথম পর্যায়ে সিফিলিস হলো সাধারণত যে উপসর্গগুলো লক্ষণীয় হয় সে গুলো হলো ১০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে শরীরের র্যাশ –
পায়ুর কাছে র্যাশ –
স্তনবৃন্তে র্যাশ-
৪ থেকে ১০ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার প্রকাশ –
দ্বিতীয় স্তরের সিফিরিস-
এই স্তরের ৬ সপ্তাহের সময় থেকে অন্তত ৩ মাসের মধ্যে এর প্রকাশ ঘটে। এর লণযোগ্য উপসর্গগুলো হলো-
চুল পড়ে যাওয়া, প্রচন্ড মাথাব্যথা
গলা সুকিয়ে যাওয়া
জ্বর
শরীর সামান্য শুকিয়ে যাওয়া
সিফিলিসের চূড়ান্ত স্তর-
সিফিলিসের সবচেয়ে মারাত্নক পর্যায় হলো এই স্তর। এই সময়ে উপসর্গগুলো হলো- হাট আক্রান্ত হওয়া
রক্তনালীর সমস্যা
মস্তিষ্কের রক্তরণ
স্পাইরালস কার্ডের সমস্যা
নিউরো সিফিলিস
চোখ আক্রান্ত হওয়া
যৌনাঙ্গের চূড়ান্ত সমস্যা
সিফিলিসের চিকিৎসা
পেনিডিওর ইনজেকশন সিফিলিসের প্রধান চিকিৎসা। এটি প্রতি সপ্তাহে একবার করে নিতম্বে গ্রহন করতে হয়। ইনজেকশন নিবার আগে খেয়াল রাখতে হবে সিরিঞ্জ যেন জীবাণুমুক্ত হয়। যদি রোগীর পেনিসিলিনের স্পর্শকাতরতা থাকে তবে টেট্রাসাইকিন এবং এমপিসিলিন ৫০০ মিঃগ্রাঃ করে দিনে চার বার সেবন করতে হবে।