ভারতের ফর্টিস হাসপাতালের কান্ডঃ ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ১৫ দিনে ১৬ লাখ রুপি বিল!!

ভারতের ফর্টিস হাসপাতালের কান্ডঃ ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ১৫ দিনে ১৬ লাখ রুপি বিল!!

[স্বাস্থ্য বাংলা ডেস্ক]

ডেঙ্গুর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিল ৭ বছরের একটি মেয়ে। ১৫ দিন পর  ২৭০০ গ্লাভস আর ৫০০ সিরিঞ্জের খরচ দেখিয়ে হাসপাতাল তার বাবা মাকে বিল ধরিয়েছে  ১৬ লাখ টাকার। এরকমই অভিযোগ উঠেছে  ভারতের গুরগাঁও (দিল্লি) ফর্টিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, যমজ দুই বোনের মধ্যে আদ্যা ছিল একটু বড়। ২  মাস আগে ডেঙ্গু হয় তার। তাকে ভর্তি করা হয় দ্বারকার এক বেসরকারি হাসপাতালে। পঞ্চম দিনে বাবা মা তাকে নিয়ে আসেন গুরগাঁও-র ফর্টিস হাসপাতালে। অভিযোগ, তাঁদের কোনও কিছু না জানিয়ে পরদিনই আদ্যাকে ভেন্টিলেটরে দিয়ে দেয় হাসপাতাল।

এরপর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। মস্তিষ্ক থেকে কিডনি-গুরুত্বপূর্ণ সব অঙ্গ আক্রান্ত হয় ডেঙ্গিতে। হাসপাতাল শুধু ওষুধের বিলই ধরিয়েছে  ৪ লাখ টাকার। শিশুটির ৭০ শতাংশ মস্তিষ্ক ড্যামেজ হয়ে গেলেও হাসপাতাল বলে গোটা শরীরে প্লাজমা ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে, যার খরচ ১৫-২০ লাখ টাকা। তার বাবা মা জিজ্ঞেস করেন, সন্তানের বাঁচার সম্ভাবনা নেই তা পরিষ্কার, তাহলে এই প্লাজমা ট্রান্সপ্ল্যান্টের যৌক্তিকতা কী। অভিযোগ, হাসপাতাল নাকি দাবি করে, মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে গেলেও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এর ফলে কাজ শুরু করতে পারে।

শিশুটির মা দীপ্তির অভিযোগ, মৃত্যুর পর তাঁর মেয়েকে যে কাপড়ে ঢেকে দেয় হাসপাতাল, বিলে তার দামও ধরে নিয়েছে তারা।

সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর এ ব্যাপারে টুইট করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চান।ঘটনার কথা জানতে পেরে এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।

হাসপাতাল অবশ্য বলছে, আদ্যার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক ছিল, সে ব্যাপারে জানানো হয় তার পরিবারকে। সমস্ত নিয়মকানুন, প্রটোকল মেনেই তার চিকিৎসা হয়েছে বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তবে বাস্তবতা  হল, ভারতের বিভিন্ন হাসপাতাল নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। বেশ কয়েক মাস আগে দিল্লিতে ফর্টিসের বসন্ত কুঞ্জ শাখায় বিহারের এক গরিব মেহনতি মানুষের বাচ্চার মৃতদেহ আটকে রাখা হয়েছিল মাত্র সাড়ে তিন হাজার রুপি বকেয়া আছে, এই অপরাধে।

কিছুদিন আগে কলকাতার এক কর্পোরেট হাসপাতালে প্রায় দুলক্ষ রুপির মেডিক্যাল বিল ওপর মহলে চাপ দেওয়ার পর কীভাবে ছ-সাত হাজারে নেমে এসেছিল, তা নিয়ে বিপুলজিৎ বসুর একটি পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

 

 

 

 

 

Related posts

Leave a Comment