দেশে ফ্রি কিডনি সংযোজন কার্যক্রম শুরু করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এ্যান্ড ইউরোলজি। চালু করা হয়েছে ৪০টি ডায়ালিসিস মেশিন।
ফলে এখন প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন রোগী ডায়ালিসিস করতে পারবে। অতি শীঘ্র হাসপাতালে চালু হচ্ছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. মোঃ ফিরোজ খান বলেন, সরকারের সার্বিক সহযোগিতা পেলে এই প্রতিষ্ঠানকে রাজধানীর শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব। তিনি আরও বলেন, প্রতি শনিবার আমরা এই প্রতিষ্ঠানে বিনা টাকায় কিডনি সংযোজন কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে এক্ষেত্রে কিডনি ডোনার থাকতে হবে। হাসপাতালে আইসিইউ চালুর ব্যাপারে তিনি জানান, এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। তবে কর্মকর্তা ও নার্সের অভাবে এর কার্যক্রম শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য দক্ষ জনবল নিয়োগ, গবেষণার কাজকে আরও ত্বরান্বিত করতে হাসপাতালে আরও ২৫০ বেড সংযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এই বছরের প্রথম দিকে এর কাজ শুরু হবে।
আউটডোরে মেডিক্যাল অফিসারদের পাশাপাশি থাকছেন প্রফেসর, সহযোগী অধ্যাপক। যার ফলে রোগীরা সহজে একজন স্পেশালিস্ট দেখাতে পারছেন। হাসপাতালে গরিব রোগীদের জন্য ডায়ালিসিসের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হচ্ছে। খরচ পড়বে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের জন্য ২০০ টাকা এবং কেবিনে রোগীদের জন্য রাখা হচ্ছে ৩০০ টাকা। যা বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালের খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। প্রতিদিন এখানে ডায়ালিসিসের কাজ হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০টি।
জানা যায়, দৈনিক বহির্বিভাগের নেফ্রোলজি এবং ইউরোলজি বিভাগে ৫ শতাধিক রোগী আসছে চিকিৎসা নিতে। চাহিদার তুলনায় বেড, সংখ্যা সীমিত হওয়া রোগী ভর্তি করতে পারছে না কতৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রতিদিন মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। আর বাকি রোগীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর দিন। তাই হাসপাতাল নার্স সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
২০০১ সালে কিডনি ইনস্টিটিউট চালুর পর প্রথমে বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা চালু করা হয়।
২০০৩ সালে অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাসেবা চালু করার মধ্যদিয়ে কিডনি ইনস্টিটিউট পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাসেবা দিতে শুরু করে। বর্তমানে এই হাসপাতালে ১০৪ জন ডাক্তার রয়েছেন। এর মধ্যে ৬ জন অধ্যাপক, ১২ জন সহযোগী অধ্যাপক। তবে নার্স সংখ্যা মাত্র ৭০ জন, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।