নেইলপলিশ ছিল মেয়েদের দখলে, এখন ছেলেরাও ব্যবহার করছে। নখ সাজাতে এবং এর যত্ন নিতে বিভিন্ন পদ্ধতি, ডিজাইন ও রং ব্যবহৃত হচ্ছে। ঘরে বসেও হাত ও নখের যত্ন নিতে পারেন। যত্ন নিতে প্রয়োজন নেইলবার্নিশ, তুলা, হ্যান্ডক্রিম, নেইলফাইল, কিউটিকল অয়েল, সল্ট, নেইলব্রাশ, নেইলকাটার ও বাফার।
এক-দেড় ঘণ্টা সময় নিয়ে ম্যানিকিউর করুন।
* প্রথমে নেইলকাটার দিয়ে নখের অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলুন। নেইলফাইলে নখ ঘষে পছন্দমতো আকারে নিয়ে আসুন, নখ সহজে ভাঙবে না।
* পাত্রে উষ্ণ পানিতে শ্যাম্পু, লবণ ও লেবু মিশিয়ে হাত ভিজিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট।
* ব্রাশ দিয়ে হাত ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
* হাত পাঁচ মিনিট স্ক্রাব ম্যাসাজ করুন।
* এবার বাফার দিয়ে নখের ওপর লেগে থাকা ময়লা ঘষে পরিষ্কার করুন।
* লোশন দিয়ে আঙুল পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউর হচ্ছে নখের আসল রংকে হাইলাইট করা। নখের মাথায় সাদা বা যেকোনো রং লাগান। তবে ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিউরের ন্যাচারাল লুক ছাপিয়ে একাধিক রঙের মিশ্রণ এখন জনপ্রিয়। অ্যাক্রিলিক নেইল নখের ফ্যাশনে নতুন সংযোজন অ্যাক্রিলিক নেইল। এর সাহায্যে নখ বড় করা যায়। অ্যাক্রিলিক গাম দিয়ে আসল নখের ওপর এমনভাবে সেট করা হয়, মনে হবে আসল নখ। ফেইক নেইল নখ রাখতে সমস্যা হলে বা নখ ছোট হলে ফেইক নেইল লাগান। ফেইক নেইল সাধারণত সাদা ও যেকোনো আকারের হয়। প্রথমে আঙুলের সঙ্গে মিলিয়ে নখের মাপ নিয়ে কেটে ফাইল করুন। এবার নেইল গাম দিয়ে নখের ওপর লাগান। চাইলে নেইলপলিশও লাগাতে পারেন। নখের আকৃতি নখ সব সময় মিডিয়াম লেন্থে রাখুন, নেইলপলিশ লাগাতে সুবিধা হবে। নখের লেন্থ যা-ই হোক না কেন, তা যেন আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানায়। এখন স্কয়ার শেপের নেইল জনপ্রিয়।
নেইলপেইন্ট নেইলপেইন্ট খুব জনপ্রিয়। ঘরে বা পারলারে নেইল পেইন্ট করা যায়। নেইল পেইন্ট করতে প্রথমে রং নির্বাচন করুন। কটন বল, রিমুভার, তোয়ালে, খবরের কাগজ ও ক্লিয়ার নেইলপলিশ স্টোন ও স্টিকার গুছিয়ে হাতের কাছে রাখুন। পেইন্টের শুরুতে ক্লিয়ার নেইলপলিশ লাগান। পেইন্ট বা পলিশ প্রথমে মাঝ বরাবর লম্বা করে তারপর বাঁয়ে ও ডানে লাগান। ক্লিয়ার পলিশ শুকিয়ে গেলে পছন্দসই পেইন্ট লাগান এবং শুকিয়ে নিন। পেইন্টের ওপর দ্বিতীয়বার ক্লিয়ার নেইলপলিশ লাগান। স্টোন, স্টিকার ও গি্লটার নেইলপলিশ ছাড়াও নখে স্টোন, স্টিকার ও গি্লটার লাগানো যায়। এগুলো নখে লাগাতে টুইজার, নেইলজেল বা নেইলগাম প্রয়োজন। স্টোনের পরিবর্তে ছোট ফ্ল্যাট বোতামও ব্যবহার করতে পারেন। স্টোন দুইভাবে লাগানো যায়। প্রথমত স্টোন বা স্টিকার গাম দিয়ে নখে লাগিয়ে শুকান। তার ওপর নেইলপলিশ লাগান। আগেও নেইলপলিশ লাগিয়ে নিতে পারেন। শুকিয়ে গেলে তার ওপর গাম দিয়ে স্টিকার, স্টোন ও গি্লটার লাগান। বাজারে বিভিন্ন ধরনের গি্লটারযুক্ত নেইলপলিশ পাওয়া যায়, তাও ব্যবহার করতে পারেন। আরেক পদ্ধতিতে গি্লটার লাগানো যায়।
প্রথমে নখে নেইলপলিশ লাগিয়ে তার ওপর ডাস্ট গি্লটার ছড়িয়ে দিন। শুকালে আবার নেইলপলিশ লাগান। নেইল-অ্যাঙ্সেরিজ গয়নার দোকানে নখের বিভিন্ন অনুষঙ্গ পাওয়া যায়। তবে নখ বড় রাখতে হয়। তারপর বিশেষ ইনস্ট্রুমেন্ট দিয়ে নখ ছিদ্র করুন। নেইলপলিশ লাগান। পলিশ শুকিয়ে গেলে নখের ছিদ্রে সোনালি, রুপালি বা যেকোনো মেটালের ছোট রিং পরুন। ঝুঁকিপূর্ণ তাই নিজে চেষ্টা না করে সেলুনে করান। নখে পেইন্ট করার জন্য নেইল আর্ট সপে নেইলপেইন্টের জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের ব্লক ও কলম পাওয়া যায়। এগুলোর সাহায্যেও নখ সাজাতে পারেন।