যে সকল দম্পতির নুন্যতম দুইটি সম্পুর্ন সুস্থ বাচ্চা আছে এবং যখন স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সম্মতি থাকে তখন টিউবাল লাইগেশন অপারেশন টি করা হয়। সাধারনত বাচ্চা ডেলিভারির পর পর অথবা সিজারিয়ান সেকশন করে বাচ্চা ভুমিষ্ট করার সময় এই অপারেশন করা হয়। তবে এটা যেকোনো সময়ই করা যায়।
তলপেটের মাঝবরাবর ইঞ্চি খানেক লম্বা অংশের চামড়া কেটে এই অপারেশন করা হয়। কাটা অংশ দিয়ে ফেলোপিয়ান টিউবটি বের করে তা কেটে এর দুই মাথা বেধে দেয়া হয়। যে কোনো প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত চিকিৎসকই এটি করতে পারে। পরবর্তীতে কোনো দম্পতি যদি মনে করে তাদের আরেকটি সন্তান নেবার প্রয়োজন আছে তাহলে মাইক্রোসার্জারি করে কাটা টিউবের দুই মাথা আবার জোড়া লাগিয়ে দেয়া যায়। এই দ্বিতীয় অপারেশনটি অতটা ফলপ্রসু হয়না, শুধুমাত্র এক তৃতীয়াংশ দম্পতির এই অপারেশনের মাধ্যমে পুনরায় সন্তান ধারন করার সম্ভাবনা থাকে।