ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফ্যামিলি প্ল্যানিং করা বেশ সুবিধাজনক। তিনভাবে ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিং করা যায়। তার মধ্যে সেফ পিরিয়ড গণনা করে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কাপলের জন্য বেশ আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। এ পদ্ধতিতে মহিলাদের পিরিয়ডের নিরাপদ সময় গণনা করা হয়। সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার আগের নয়দিন, মাসিকের দিনগুলো এবং মাসিক পরবর্তী চারদিন নিরাপদ সময়ের অন্তর্গত। এ সময়ে দৈহিক মিলন হলেও গর্ভপাত সঞ্চারণের কোনো ঝুঁকি থাকে না। উল্লেখ্য, পিরিয়ডের সময় দৈহিক মিলন ইসলাম ধর্মে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাছাড়া বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সে কারণে মাসিক শুরুর আগের নয়দিন এবং…
Read MoreCategory: জন্ম নিয়ন্ত্রন
ব্রেস্ট ফিডিং ও ফ্যামিলি প্ল্যানিং
সন্তান জন্মদানের পর কিছু হরমোনের প্রভাবে মহিলাদের ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আবার গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। যতদিন হরমোনের প্রভাব থাকে ততদিন মা আবার গর্ভধারণের ঝুঁকিমুক্ত থাকেন। একেকজনের ক্ষেত্রে এ প্রভাব একেক দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। কতদিন আপনি ঝুঁকিমুক্ত থাকবেন তা নির্ভর করে আপনি কতদিন এবং কতবার আপনার সন্তানকে বুকের দুধ বা ব্রেস্ট ফিড করাচ্ছেন। আমেরিকান কলেজ অব গাইনোকলজিস্টের মতে, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিংয়ের মাধ্যমে ছয় মাস পর্যন্ত গর্ভধারণ বা প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করা যায়। উল্লেখ্য, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং মানে সন্তানকে জন্মের পর থেকে শুরু করে টানা ছয় মাস…
Read Moreজন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন
ইনজেকশনে এক ধরনের সিনথেটিক হরমোন ব্যবহার করা হয়। বাণিজিক্যভাবে এটা ডিপো-প্রোভেরা নামে পরিচিত। একবার ইনজেকশন নিলে তিন মাস পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ করা যায়। ইনজেকশনের সুবিধা খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। পিলের মতো এর ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ইউটেরাস ও ওভারির ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করে। ইনজেকশনের অসুবিধা প্রথম বছরে কিছু মহিলার পিরিয়ড নাও হতে পারে। ইনজেকশন বন্ধ করার পরও গর্ভধারণের জন্য কমপক্ষে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া ওজন বৃদ্ধি, ডিপ্রেশন ইত্যাদি হতে পারে। বর্তমানে বাজারে খৎষপললপ নামক এক ধরনের ইনজেকশন পাওয়া যাচ্ছে। এ ইনজেকশনে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন ব্যবহৃত হয়।…
Read Moreজন্মনিয়ন্ত্রণের ভবিষ্যৎ পদ্ধতি
জন্মনিয়ন্ত্রণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত এবং শতভাগ কার্যকর একটা পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা দীর্ঘদিনের। তাছাড়া এ পর্যন্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণের যত পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে তার সবকিছুই মহিলাকেন্দ্রিক। তাই খুব শিগগিরই বাজারে আসছে জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশকিছু নতুন পদ্ধতি। পুরুষের জন্য পিল গসিপল নামক এ পিল খুব শিগগিরই বাজারে আসছে। এ পিলে স্টেরয়েড হরমোন থাকে, যা শুক্রাণুর ডেভেলপমেন্ট হতে দেয়া না। পুরুষের জন্য ইনজেকশন এটা তিন মাস অন্তর ব্যবহার করতে হয়। পুরুষদের যৌনাকাঙ্ক্ষা কমিয়ে দেয় বলে এটা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। ইমপ্ল্যান্ট ইমপ্ল্যানোন নামক নতুন এ ইমপ্ল্যান্ট চার সেন্টিমিটার লম্বা এবং মাত্র দুই মিলিমিটার প্রশস্ত। এটাতে খুবই কার্যকর…
Read Moreজন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি
যাদের ফ্যামিলি কমপ্লিট এবং যারা আর সন্তান নিতে চান না কেবল তারাই স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। পুরুষ-মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে স্থায়ী পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায়। মহিলাদের বন্ধ্যত্বকরণ এটাকে লাইগেন বলা হয়। এ ক্ষেত্রে খুবই ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে ইউটেরাসের টিউব বন্ধ করে দেয়া হয়। জরায়ু নালি বন্ধ করায় শুক্রাণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হতে পারে না। ফলে গর্ভধারণের কোনো সম্ভাবনা থাকে না। এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হরমোনাল পদ্ধতির মতো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ডিভোর্স, সন্তানের মৃত্যু ইত্যাদি নানা কারণে অনেকে আবার গর্ভধারণের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে…
Read Moreজন্ম নিয়ন্ত্রণ
সমস্যা : আমার বয়স ২০ বছর। বিবাহিত। দুই মাস আগে আমার বিয়ে হয়েছে। আমরা দু’জনই সন্তান নিতে চাই না এখন। তাই আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি। ডাক্তার বলেছেন, প্রথম প্রথম পিল খেলে নাকি পরবর্তীতে সন্তান নিতে অসুবিধা হয়। এটা কি সত্যি। আমার ঋতুস্রাব নিয়মিত হয়। তাই আমি প্রাকৃতিক নিয়েমের ব্যাপারটি বুঝতে চাই। সুমি, মধ্য বাসাবো, ঢাকা সমাধান : আপনারা বুদ্ধিমান প্রথমেই পরামর্শ চেয়েছেন। পিল খাওয়া যদিও খুব একটা ভাল না, তবুও নতুন বিবাহিতদের জন্য পিল বা কনডম ব্যবহার করাই ভাল। মাসিকের প্রাকৃতিক নিয়ম তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ এতে সহজেই গর্ভধারণ…
Read Moreপ্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন
মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র (Menstrual cycle) এমন যে এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস (Safe period) হিসেবে ধরা হয়। এই দিবস গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর অবাধ মিলনের (Sexual act) ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবার সম্ভাবনা থাকেনা। যেহেতু এই পদ্ধতিটি প্রকৃতিগত ভাবেই নির্দিষ্ট করা তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। অনেক সময় একে ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলা হয়। এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোন গুলো। এজন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়। এবার সবচেয়ে কম…
Read Moreভ্যাসেকটমি
ভ্যাসেকটমি স্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রনের একটি পদ্ধতি। পুরুষের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। অন্ডকোষে যে দুইটি শুক্রাশয় (Testes) থাকে তা থেকে ভাস (Vas difference) নামক দুটি পৃথক নালী দিয়ে শুক্রানু বা বীর্য পুরুষাঙ্গের শীর্ষে পৌছায়। ভ্যাসেকটমি অপারশনের মাধ্যমে অন্ডকোষের নীচের দিকে খুবই ছোট্ট একটি অংশের চামড়া কেটে ঐ ভাস দুটিকে বেধে কেটে দেয়া হয়। এর ফলে বীর্যপাতের সময় বীর্য রস (Semen) আসলেও তাতে কোনো শুক্রানূ (Sperm) থাকেনা ফলে যৌন মিলন ঘটলেও স্ত্রীর গর্ভধারন করার সম্ভাবনা থাকেনা। এটা খুবই ছোট্ট একটা অপারেশন, এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি হবার ও প্রয়োজন হয়না। অপারশনের পরপরই এটা…
Read Moreকপার টি
অনেক দম্পত্তির কাছেই রোজ রোজ বড়ি খাওয়া বা কনডম ব্যবহার করা একটা বিরক্তিকর কাজ বলে মনে হয়; আই,ইউ,সি,ডি (কপার টি) তাদের জন্যই ঝামেলাহীন কার্যকরী কম খরচের এক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি। একবার আই,ইউ,সি,ডি ব্যবহার করলে ১ বছর থেকে ৭/৮ বছর পর্যন্ত অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার না করেও জন্মনিয়ন্ত্রন কার্যকর রাখা যায়। আই,ইউ,সি,ডি ইংরেজি অক্ষর T এর মতো দেখতে একটি Device যা মহিলাদের জরায়ুতে যোনিপথ দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। বর্তমানে তিন ধরনের আই,ইউ,সি,ডি সহজলভ্য, লিপিস লুপ-কপার টি ও হরমোন নিসৃত করা আই,ইউ,সি,ডি। এর মধ্যে হরমোন নিসৃতকারিটি মাত্র ১ বছর কার্যকর থাকে, অন্য গুলো…
Read Moreটিউবেকটমি বা টিউবাল লাইগেশন
টিউবাল লাইগেশন মহিলাদের স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রনের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মহিলাদের ডিম্বানুর গমন পথকে কেটে পৃথক করে দেয়া হয়। ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বানু ফেলোপিয়ান টিউব (Fallopian tube) এর মাধ্যমে জরায়ুতে আসে, টিউবেকটমি বা টিউবাল লাইগেশন (Tubal ligation) অপারেশন দ্বারা এই টিউব কে বেধে এবং কেটে দিয়ে এই পথ কে বাধাগ্রস্ত করা হয়। যে সকল দম্পতির নুন্যতম দুইটি সম্পুর্ন সুস্থ বাচ্চা আছে এবং যখন স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই সম্মতি থাকে তখন টিউবাল লাইগেশন অপারেশন টি করা হয়। সাধারনত বাচ্চা ডেলিভারির পর পর অথবা সিজারিয়ান সেকশন করে বাচ্চা ভুমিষ্ট করার সময় এই অপারেশন করা হয়। তবে…
Read More